প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের সংলাপ শুরু
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর একাধিক নেতার আলোচনা শুরু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রথম দফার এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
“আমরা সরকারের পাশে, পদত্যাগ চাই না”—বলেন দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশে আছি এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চাই না।” তিনি রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত “বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দ্রুত নির্বাচন” শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিএনপির লিখিত প্রস্তাব
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি একটি লিখিত বিবৃতি উপস্থাপন করে, যেখানে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলটির অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় ১৬ বছর ধরে চলমান স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্ত হয়। এই গণজাগরণে মানুষের প্রত্যাশা ছিল—একটি বৈষম্যহীন, মানবিক মর্যাদাভিত্তিক, সামাজিক ন্যায়বিচারসম্পন্ন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই জনগণ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে।
জাতীয় সংকট এড়ানো গেছে, এখন পরবর্তী করণীয় কী?
সুখবর হলো, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তাঁর পদত্যাগের ইচ্ছা থেকে সরে এসেছেন। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তাঁর প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং তাঁকে দায়িত্বে দেখতে চেয়েছে। এই সমন্বিত অবস্থান দেশের সম্ভাব্য একটি বড় রাজনৈতিক সংকট এড়াতে সহায়ক হয়েছে। তবে এখন সামনে কী করণীয়—তা নিয়ে জাতির সামনে নতুন প্রশ্ন এসেছে।